শিরোনাম
Passenger Voice | ১২:৫৬ পিএম, ২০২৩-০৫-০৬
গোপালগঞ্জে বাস মালিক সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ও দোকান ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে বলে আহতরা জানালেও পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
শুক্রবার (৫ মে) রাতে জেলা শহরের কুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জাবেদ মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আগামী ২০ মে গোপালগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতির নির্বাচন। শুক্রবার ছিল প্রতীক বরাদ্দের নির্ধারিত দিন। প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে ইলিয়াস-লিটন পরিষদের সমর্থকদের সঙ্গে কামিল–মাসুম পরিষদের সমর্থকদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে রাতে ইলিয়াস-লিটন পরিষদের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কামিল–মাসুম পরিষদের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়।
এ সময় বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল ও দোকান ভাঙচুর করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত ৭ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত মো. হিসাম বলেন, হঠাৎ ইলিয়াস-লিটনের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে আমার মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে। এ সময় আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় তারা।
বাস মালিক শফিবুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার ছিল প্রতীক বরাদ্দের নির্ধারিত দিন। প্রতীক বারাদ্দ হয়। পরে রাতে হঠাৎ ইলিয়াস-লিটনের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কামিল–মাসুম পরিষদের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এ সময় ইলিয়াস-লিটনের সমর্থকরা গুলি করেছে।
সংঘর্ষে আহত টুটুল কামিল–মাসুম সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য করে তারা গুলি করেছে।’
এ প্রসঙ্গে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জাবেদ মাসুদ জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত। তবে সংঘর্ষ চলাকালে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.